স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে
ㅤ ㅤ ㅤ
বিগত কয়েক মাস ধরে, কোটা সংস্কার আন্দোলন বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে সামনে এসেছে। এ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বহু পরীক্ষার্থী পরীক্ষা না নিয়ে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু আন্দোলনের ধারাবাহিকতা এবং শিক্ষার্থীদের চাপে অবশেষে স্থগিত পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ㅤㅤㅤ
ㅤ ㅤ ㅤ
মঙ্গলবার দুপুরে হাজারো পরীক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে। তাদের দাবি ছিল, ইতোমধ্যে যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, সেই পরীক্ষার ভিত্তিতে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে এবং তাদের পড়াশোনাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের এই দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্থগিত থাকা পরীক্ষাগুলো বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ আব্দুর রশিদের সঙ্গে বৈঠক করে। এই বৈঠকের পরেই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
ㅤ ㅤ
তবে স্থগিত পরীক্ষাগুলোর পরিবর্তে কীভাবে শিক্ষার্থীদের ফলাফল নির্ধারণ করা হবে, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এই পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, কারণ তারা জানে না তাদের চূড়ান্ত ফলাফল কীভাবে নির্ধারিত হবে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের এক ধরনের অনিশ্চয়তায় ভুগতে হচ্ছে।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবন ও ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ফলাফল নির্ধারণ প্রক্রিয়াটি কিভাবে সম্পন্ন হবে, তা নিয়ে সবাই আগ্রহী এবং সংশ্লিষ্টরা আশা করছে যে শিগগিরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা আসবে।
ㅤ
এই ঘটনা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি নজিরবিহীন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে একটি জাতীয় পরীক্ষার বাতিল হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি ভবিষ্যতে ছাত্র রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।
ㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤ