বন্যায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু ৫২ জনের
বন্যায় ৫২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রায় ১০ লাখ ৭২ হাজার ৫৭৯টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে, যা মোট ৫৪ লাখেরও বেশি মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বন্যার কারণে ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর এবং কক্সবাজার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ㅤ
বন্যা পরিস্থিতির কারণে এসব এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩৪০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৫ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া, আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৬,৪৪৮টি গবাদি পশুও স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ㅤ
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে প্রশাসন এবং ত্রাণ সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৫৯৫টি মেডিকেল টিম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কাজ করছে, যারা বন্যাকবলিত মানুষের জন্য জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করছে। তবে, কিছু কিছু জেলায়, বিশেষ করে লক্ষ্মীপুরে, খাদ্য এবং নিরাপদ পানির অভাব দেখা দিয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
ㅤ
সিলেটের কিছু অংশে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তবে অন্যান্য এলাকায় পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বন্যার পানি কমে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসবে। এই মুহূর্তে, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যাতে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করা যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসন করা যায়।
ㅤ
ㅤ
ㅤㅤ
ㅤ
ㅤㅤ
ㅤ
ㅤㅤ