জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবির প্রেক্ষিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
সোমবার বিকেলে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিছিল শেষে শহীদ মিনারের পাদদেশে সমাবেশ করেন।
সমাবেশে তাঁরা চারটি মূল দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরেন:
- আরিফ সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি।
- কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের ওপর অত্যাচারের বিচার এবং আটক ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি।
- আন্দোলন চলাকালে নিহতদের হত্যার বিচার।
- শিক্ষার্থীদের ওপর মামলা এবং গণগ্রেপ্তার বন্ধ করা।
আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের সামনে মহুয়াতলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জড়ো হন।
পরে সেখান থেকে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন, যা সমাজবিজ্ঞান ভবনের সামনে দিয়ে ঘুরে পুনরায় শহীদ মিনার চত্বরে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে তাঁরা ‘আরিফ সোহেলের মুক্তি চাই ।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দাবি শাখার আরেক সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা দেখেছি, কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা চালানো হয়, ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালানো হয়েছে, বাংলাদেশেও স্বৈরাচারী সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা চালিয়েছে।
বিক্ষোভ মিছিলে ‘আরিফ সোহেলের মুক্তি চাই। সমাবেশে শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, “আমরা যৌক্তিক আন্দোলনে নেমেছি, কিন্তু সরকার হামলা চালিয়েছে।
আহসান লাবিব বলেন, “কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলাম, কিন্তু নির্মম হামলার শিকার হয়েছি।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমাদের সমন্বয়কদের মুক্তি না দিলে আন্দোলন চলবে।” অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবি জানান।
ডিবি পুলিশের হেফাজতে থাকা ছয়জন সমন্বয়ক রোববার কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন, তবে অন্য সমন্বয়করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান।