কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হওয়া তিন বন্ধুর মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটে সন্ধ্যা সাতটার দিকে শম্ভুপুর পাক্কার মাথা এলাকায়, যেখানে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে তাদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর মোটরসাইকেলটি ছিটকে পড়ে চলন্ত একটি ট্রাকের নিচে, যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তোলে।
দুর্ঘটনায় আহত তিন বন্ধুকে উদ্ধার করে প্রথমে ভৈরবের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে গুরুতর আহত সুফল মিয়া ও আসাদুজ্জামান মুন্নাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়, তবে রাত ১০টার পর তারা হাসপাতালে মারা যায়। তাদের অপর বন্ধু বর্ণ বর্তমানে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ㅤ
নিহত সুফল মিয়া (স্বপন মিয়ার ছেলে) ও আসাদুজ্জামান মুন্না (আতাউল্লাহ মিয়ার ছেলে) ভৈরব বাসস্ট্যান্ড ও পৌর শহরের গাছতলা ঘাট এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তারা দুজনই অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তাদের অকাল মৃত্যুতে পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং স্থানীয় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ㅤ
মুন্নার ভাই বিজয় তার ভাইয়ের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিবারে মোটরসাইকেল থাকলেও মুন্নাকে কখনো চালাতে দেওয়া হতো না। কিন্তু সেই বাইক আজ আমার ভাইয়ের জীবন কেড়ে নিল।’ একইভাবে, সুফলের পরিবারও জানায়, তারা জানতেন যে বন্ধুরা বেড়াতে যাচ্ছে, তবে মোটরসাইকেলে যাওয়া সম্পর্কে জানলে তারা অনুমতি দিতেন না।
ㅤ
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাঝু মিঞা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পরপরই ট্রাকটির চালক পালিয়ে যায় এবং অটোরিকশাটিরও কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে এবং পলাতক চালকদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
ㅤ
এই দুর্ঘটনা সড়কে নিরাপত্তার বিষয়ে নতুন করে ভাববার সুযোগ এনে দিয়েছে, বিশেষ করে অল্প বয়সী মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ম মানার অভ্যাস তৈরি করার বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন অনেকে।
ㅤ
ㅤ
ㅤㅤ
ㅤ
ㅤㅤ
ㅤㅤ
ㅤ
ㅤㅤ
ㅤㅤ
ㅤ
ㅤ
ㅤㅤ