জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারে চীন বিশ্বে শীর্ষে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের
জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারকারী চীন বিশ্বের বৃহত্তম দেশ এবং ভারতের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে। এই দুই দেশের শক্তি ব্যবস্থার পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় যে, তাদের জীবাশ্ম ব্যবহার পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক প্রভাবের দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
চীন
চীন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারকারী দেশ। ২০২৩ সালে চীন জীবাশ্ম জ্বালানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ব্যবহার করেছে,
যা তার বিশাল শিল্পিক ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত। চীনের শিল্পায়ন, দ্রুত নগরায়ণ, এবং বৈশ্বিক উত্পাদন কেন্দ্র হিসেবে তার অবস্থান,
জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা বাড়িয়েছে। কয়লা, তেল, ও গ্যাস চীনের প্রধান জীবাশ্ম জ্বালানি উৎস।
কয়লা, বিশেষ করে, চীনের শক্তি ব্যবস্থার প্রধান অংশ। যদিও চীন নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, কয়লা এখনও দেশের শক্তির বড় অংশ। চীনের বায়ু দূষণ, কার্বন নির্গমন, এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সমস্যাগুলির সাথে যুক্ত এই ব্যবহার। বায়ু ও পরিবেশ দূষণ চীনের মানুষের স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলছে।
ভারত
দক্ষিণ এশিয়ায়, ভারত জীবাশ্ম জ্বালানির সবচেয়ে বড় ব্যবহারকারী দেশ। ভারতে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রধান উৎস হিসেবে কয়লা, তেল, এবং গ্যাস
ব্যবহার করা হয়। ভারতের শক্তি ব্যবস্থার একটি বড় অংশ কয়লা নির্ভর, যা দেশটির বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি বড় অংশ পূরণ করে।
ভারতের জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের বৃদ্ধি দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত। ভারতে বিদ্যুৎ চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। যদিও ভারত নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার এখনও ব্যাপক।
চীন এবং ভারতের জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বৈশ্বিক পরিবেশের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে।
বায়ু দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং কার্বন নির্গমন এই দুই দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। বায়ু দূষণের ফলে স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন শ্বাসকষ্ট এবং হৃদরোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পরিবেশগত সমস্যা মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় উদ্যোগ চলছে।
চীন নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যেমন সৌর ও বায়ু শক্তি।
ভারতও এরকম উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যেমন সৌর শক্তি প্রকল্প এবং বিদ্যুৎ সঞ্চয় প্রযুক্তি।
তবে, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন।