চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অলিম্পিকে চলছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
অলিম্পিকে চলমান চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কেবলমাত্র ক্রীড়াক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয় ।
দুই দেশের মধ্যে এই ‘যুদ্ধ’ মূলত অলিম্পিক গেমসে সবচেয়ে বেশি পদক জয়ের জন্য চালানো প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন অলিম্পিক উভয় ক্ষেত্রেই চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের প্রধান প্রতিপক্ষ।
উদাহরণস্বরূপ, ২০০৮ সালে বেইজিং গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে চীন নিজ দেশে সর্বোচ্চ স্বর্ণপদক অর্জন করে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে দেয়।
যদিও সামগ্রিক পদকের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে ছিল, তবুও এই ফলাফল চীনের জন্য এক বিশাল সাফল্য হিসেবে গণ্য হয়।
অন্যদিকে, ২০২০ সালে টোকিও অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্র পুনরায় পদক তালিকার শীর্ষে উঠে আসে, কিন্তু চীন দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে আবারও প্রমাণ করে যে তারা বিশ্বের অন্যতম ক্রীড়া শক্তি।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধুমাত্র অলিম্পিক পদকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি দুই দেশের মধ্যে বৃহত্তর শক্তির ভারসাম্য নিয়ে চলছে।
চীন তাদের ক্রীড়াবিদদেরপ্রশিক্ষণে বিশাল পরিমাণে সরকারি বিনিয়োগ করে, যা তাদের আন্তর্জাতিক মঞ্চে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সাহায্য করে।
তাদের ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো বিশ্বমানের এবং সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা পায়, যা চীনের ক্রীড়া উন্নয়নের একটি মূল ভিত্তি।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়া কাঠামো একটি ভিন্ন পথে চলে। এখানে ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়ই বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হয় এবং শিক্ষাব্যবস্থা ও পেশাদার ক্রীড়ার মধ্যেএকটি শক্তিশালী সংযোগ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ক্রীড়া কার্যক্রমে অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা হয়, যা তাদের অ্যাথলেটদের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাথলেটরা অলিম্পিকে অংশ নিয়ে বহুবার বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের এই অলিম্পিক ‘যুদ্ধ’ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যায়।
দুই দেশের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা ক্রীড়াক্ষেত্রে নতুন নতুন রেকর্ড ও সাফল্যের জন্ম দেবে, যা বিশ্ব ক্রীড়ার ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।
তবে, এটি বিশ্ববাসীকে মনে করিয়ে দেয় যে ক্রীড়া কেবলমাত্র একটি খেলা নয়, বরং এটি দেশের মর্যাদা, শক্তি এবং প্রভাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হিসেবে কাজ করে।