গুগল বিরুদ্ধে প্রযুক্তি খাতের একাধিক মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের
গুগল বিরুদ্ধে প্রযুক্তি খাতের একাধিক মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের এই রায় গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেটের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা দিয়েছে
রায়ের ফলে গুগল ও অ্যালফাবেট কী ধরনের সাজার মুখোমুখি হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। পরবর্তী শুনানিতে তাদের জরিমানা বা অন্যান্য প্রতিকারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিচারক অমিত মেহতা তার ২৭৭ পাতার আদেশে উল্লেখ করেছেন যে গুগল স্মার্টফোন ও ব্রাউজারে ‘ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন’ হওয়া নিশ্চিত করতে লাখো কোটি ডলার খরচ করেছে। তিনি আরও বলেন, “গুগল একচেটিয়া এবং একচেটিয়াবাদের রক্ষক হিসেবে কাজ করেছে।”
এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পরিকল্পনা করেছে এবং তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে যে এই আদেশ স্বীকার করেছে যে গুগল গ্রাহকদের জন্য সেরা সার্চ ইঞ্জিন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত রায়ে
বলা হয়েছে যে তাদের এটি সহজলভ্য করার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।
Google সার্চ ইঞ্জিন অ্যালফাবেটের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎসগুলোর একটি।
গুগলের আইনজীবীরা যুক্তি দেন যে গ্রাহকরা গুগলকে কার্যকর মনে করে এটির প্রতি আকৃষ্ট হয়।
তারা আরও বলেন, গুগল গ্রাহকদের জন্য তাদের সার্চ ইঞ্জিন আরও উন্নত করতে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করে যাচ্ছে।
এই রায়ের ফলে গুগলকে বিভিন্ন প্রতিকারের মুখোমুখি হতে হতে পারে, যার মধ্যে জরিমানা ও ব্যবসা নীতি পরিবর্তনের নির্দেশনা থাকতে পারে।
সরকারের পক্ষ থেকে গুগলের ‘স্ট্রাকচারাল রিলিফ’ চাওয়া হয়েছে, যার অর্থ হতে পারে কোম্পানিটিকে ভাগ ভাগ করে ফেলা।
গুগলের বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি নিয়েও একটি মামলা রয়েছে, যার বিচার কাজ আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়ার কথা।
এই মামলাগুলো গুগলের একচেটিয়া ব্যবসায়িক নীতির বিরুদ্ধে আরও বড় আঘাত হতে পারে।
এসব রায় এবং মামলার ফলে গুগলের ব্যবসায়িক নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতে পারে এবং প্রযুক্তি খাতের অন্যান্য বড় কোম্পানিগুলোও এমনই চাপের মুখে পড়তে পারে।
এই রায় প্রযুক্তি খাতে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি এবং গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
গুগল এবং অন্যান্য বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা, যা তাদের ব্যবসায়িক নীতি ও কৌশলে পরিবর্তন আনতে উৎসাহিত করতে পারে।