অন্যান্য

ভারতের কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি

ভারতের কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি মোকাবিলার পাশাপাশি এখন কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তিত।

ইদানীং বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী হামলার পর গোয়েন্দারা মনে করছেন, জঙ্গিরা কৌশল বদলে জম্মুতে নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যস্ত রেখে উপত্যকায় বড় আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। এসব হামলার লক্ষ্য একটাই, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন বানচাল করা।

এ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে, যেগুলোর মধ্যে বিতর্কিত একটি হলো গ্রাম সুরক্ষা বাহিনীকে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ।

নব্বইয়ের দশকে এই ব্যবস্থা প্রথম চালু হয়েছিল, তবে তখন তেমন সাফল্য আসেনি।

গ্রামবাসীরা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সেভাবে প্রতিরোধ গড়তে পারেনি এবং অনেক ক্ষেত্রেই তাদের অস্ত্র জঙ্গিদের হাতে চলে গেছে।

এবারে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়ার ফলে তা জঙ্গিদের উৎসাহিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এছাড়া, জম্মুর জঙ্গল এলাকায় ৭৫টি শিবির খোলা হবে, যেখানে সেনাবাহিনীর স্পেশাল অপারেশন্স গ্রুপ (এসওজি) মোতায়েন থাকবে।

বিএসএফকে সীমান্তের পাশাপাশি টানেল সুরক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিচালক আর আর সোয়াইন জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকায় সম্ভাব্য অনুপ্রবেশপ্রবণ

এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেসব এলাকায় পাহারা বাড়ানো হয়েছে।উঁচু এলাকায় জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছে এবং সেনাবাহিনীর গতিবিধি লক্ষ্য করছে। এ প্রবণতা রোধে বিএসএফ মোতায়েন করা হচ্ছে।

গোয়েন্দারা জানান, প্রতি বছর ২০০ থেকে ২৫০ জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে নাশকতা চালায়, এবং ১৫০ থেকে ২০০ জঙ্গি নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে মারা যায়।

জম্মুর কাঠুয়া, ডোডা, উধমপুর ও রিয়াসি এলাকায় ৫০-৬০ জঙ্গি ঘাঁটি গেড়েছে।

কয়েকজন জঙ্গি সেনা অভিযানে মারা গেছে এবং বাকিরা লুকিয়ে আছে।

শীত আসলে হয় তাদের পাকিস্তানে ফিরে যেতে হবে, নয়তো কাশ্মীর উপত্যকায় চলে যাবে।

সরকারি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ২ হাজার সেনা জওয়ান জম্মু-কাশ্মীরে মোতায়েন করা হয়েছে এবং নির্বাচনের আগে আরও বাহিনী পাঠানো হতে পারে। জম্মু-পাকিস্তান সীমান্তের ৪৮৫ কিলোমিটার এলাকা ঘন জঙ্গল ও পাহাড়ে ঢাকা।

All News View Facebook

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *