কেরালার ওয়েনাডে ভূমিধসে নিহত সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে
কেরালার ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট একাধিক ভূমিধসে নিহত মানুষের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন ২০০ জন।
আজ বুধবার রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার আগে থেকেই দক্ষিণের রাজ্যগুলোয় ভূমিধসের আশঙ্কা করেছিল।
এই কারণে ২৩ জুলাই কেরালা সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী এনডিআরএফের নয়টি দল আগেই পাঠানো হয়েছিল।
কিন্তু অমিত শাহ অভিযোগ করেন, সতর্ক করার পরও কেরালার রাজ্য সরকার সময়মতো লোকজনকে সরিয়ে নিতে পারেনি।
ভূমিধসের পরপরই সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো উদ্ধারকাজে নিয়োজিত হয়েছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, এখনও অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
তবে বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজে বিঘ্ন ঘটছে।
অনেক রাস্তা ধসে পড়েছে, যার ফলে দুর্গত এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
বেশ কিছু পরিবার তাদের স্বজনদের নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছে।
উদ্ধারকর্মীরা নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান করছেন এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
তবে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
কেরালার ওই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত আছে।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর ওয়েনাডসহ রাজ্যের আটটি জেলায় আগামী কয়েক দিন আরও বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।আরও চার জেলায় জারি করা হয়েছে বিশেষ (কমলা) সতর্কতা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ সকালে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। তিনি রাজ্য সরকারকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার কেরালার জনগণের পাশে রয়েছে এবং যে কোনো প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও জানিয়েছে, রাজ্য সরকার উদ্ধারকাজে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
কেরালার ভূমিধসের ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সহানুভূতি ও সাহায্যের প্রস্তাব আসছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানও দুর্গত এলাকায় সাহায্য পাঠাচ্ছে।
কেরালার জনগণ এই বিপর্যয় মোকাবিলা করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ এবং সরকার ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।