জাপানের ইশিকাওয়া বন্যা মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে পৌঁছেছে
জাপানের ইশিকাওয়া অঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধস পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে পৌঁছেছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১০ জন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে ওয়াজিমা ও সুজু শহর, যেগুলো চলতি বছরের শুরুতেই ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছিল। শনিবার থেকে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টিপাত সোমবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
ㅤ
ওয়াজিমা ও সুজুতে গতকাল রোববার মাত্র এক দিনে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা সাধারণত সেপ্টেম্বর মাসে গড়ে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়, তার দ্বিগুণ। ফলে নদীগুলো উপচে পড়েছে এবং আশেপাশের সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার ফলে সৃষ্ট চরম পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন এবং উদ্ধারকর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। প্লাবিত এলাকাগুলোতে বেশ কিছু অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা আগে থেকেই বসবাস করছিলেন। তবে বন্যার পানি ওই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও প্রবেশ করায় মানুষজন নতুন করে বিপদে পড়েছে।
ㅤ
ওয়াজিমায় ভূমিধসে বিধ্বস্ত একটি সুড়ঙ্গের কাছে দুজনের মরদেহ পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে একজন নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। মৃতদের মধ্যে আরও তিনজন প্রবীণ নাগরিক—দুইজন পুরুষ এবং একজন নারী—শামিল। এই দুর্ঘটনাগুলো পরিস্থিতির ভয়াবহতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ㅤ
সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকের মতে, ইশিকাওয়ার বিভিন্ন শহর থেকে ইতোমধ্যেই ৪০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিগাতা ও ইয়ামাগাতা প্রদেশ থেকেও ১৬ হাজার বাসিন্দাকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্যায় সৃষ্ট বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ৪ হাজারেরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
ㅤ
প্রবল বৃষ্টিপাত ও বন্যার এ পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে বলে আবহাওয়া বিভাগ সতর্কতা দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকর্মীরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ㅤ
ㅤ
ㅤㅤ
ㅤㅤ
ㅤ
ㅤㅤ
ㅤ
ㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤ