অন্যান্য

এসির গ্যাস কমে গেলে বিদুৎ বিল বাড়ে ?

এসির গ্যাস কমে গেলে বিদুৎ বিল বাড়তে পারে। এসির মধ্যে রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস (যাকে আমরা সাধারণত ফ্রেয়ন বলি) সঠিক মাত্রায় না থাকলে এটি কার্যকরভাবে ঠান্ডা করতে পারে না। ফলে, এসির কম্প্রেসরকে বেশি সময় ধরে কাজ করতে হয় ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে। এই দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার কারণে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায়, যা বিদ্যুৎ বিলে প্রভাব ফেলে।

এসির গ্যাস কমে গেলে বিদুৎ বিল বাড়ে ?
এসির গ্যাস কমে গেলে বিদুৎ বিল বাড়ে ?

এসি (এয়ার কন্ডিশনার) এর গ্যাস কমে গেলে কয়েকটি স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যায়, যা দেখে সহজেই বোঝা যায় যে গ্যাসের পরিমাণ কমে গেছে। এসির গ্যাস কমে যাওয়ার সাধারণ সমস্যাগুলো দ্রুত শনাক্ত করা গেলে মেরামত ও বিদ্যুৎ খরচ দুটোই কমানো যায়।

ঠান্ডা কমে যাওয়া এসির গ্যাস কমার অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এসি চালানোর পরও ঘর ঠিকমতো ঠান্ডা না হলে বা তাপমাত্রা অনেক সময় ধরে একই থাকে, তবে বুঝতে হবে গ্যাসের অভাব রয়েছে।

অতিরিক্ত সময় নেওয়া। সাধারণত এসি ঘর ঠান্ডা করতে নির্দিষ্ট সময় নেয়, তবে গ্যাস কমে গেলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক বেশি সময় লাগে।

কুলিং কয়েলে বরফ জমা। এসির কুলিং কয়েলে বরফ জমে গেলে এটি গ্যাসের অভাবের সরাসরি প্রভাব। বরফ জমা শুরু হলে এসির কুলিং ক্ষমতা আরও কমে যায়।

অসামঞ্জস্যপূর্ণ কুলিং। এসির গ্যাস কম থাকলে ঘরের কিছু অংশ ঠান্ডা হলেও অন্য অংশে তাপমাত্রা বেশি থাকতে পারে। এটি সমানভাবে কুলিং না হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

অদ্ভুত শব্দ। গ্যাস কমে গেলে বা লিক হলে এসি থেকে অদ্ভুত হিসহিস শব্দ শোনা যেতে পারে।

অবশেষে, বিল বেড়ে যাওয়া। গ্যাস কমে গেলে এসিকে অনেক বেশি সময় ধরে কাজ করতে হয়, যা বিদ্যুৎ খরচ বাড়িয়ে দেয় এবং বিদ্যুৎ বিলে প্রভাব ফেলে।

এসব লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত টেকনিশিয়ান দিয়ে এসির গ্যাস চেক করানো উচিত। সময়মতো রক্ষণাবেক্ষণ না করলে এসির কার্যকারিতা কমে যায় এবং দীর্ঘমেয়াদে খরচও বেড়ে যেতে পারে।

All News View    Facebook

ㅤㅤ

ㅤㅤ

ㅤㅤ

ㅤㅤ

ㅤㅤ

ㅤㅤ

ㅤㅤ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *