ফেনী জেলার বন্যা পরিস্থিতি কেমন বিরাজ করছে
ফেনী জেলার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির পথে থাকলেও বেশ কিছু এলাকায় এখনও চরম দুর্ভোগ বিরাজ করছে। গত ১৯ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই বন্যায় জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যেখানে প্রায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আটদিন পর মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) থেকে জেলার কিছু অংশে পানি কমতে শুরু করলেও দাগনভূঞা এবং সোনাগাজী উপজেলায় এখনও বহু এলাকা পানির নিচে রয়েছে।
ㅤㅤㅤ
দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর, সিন্দুরপুর, রামনগর, ইয়াকুবপুরসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। এ ছাড়া, বিদ্যুৎ সরবরাহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিবেদিতা চাকমা জানিয়েছেন, বন্যার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি করছে এবং অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ কার্যক্রম চলছে। তবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এখনও পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন না।
ㅤㅤ
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কিছুটা অব্যবস্থাপনা দেখা দিয়েছে। অনেক এলাকায় একাধিকবার ত্রাণ পৌঁছালেও, কিছু স্থানে এখনও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি। ফলে জেলার ৬টি উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়ন এবং ৫টি পৌরসভার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। সোনাগাজীর সুলাখালী, মানোমিয়ার বাজার, ভোয়াগ গ্রামসহ আরও কিছু এলাকায় পানির স্তর কমে এলেও, এখনও হাঁটু থেকে কোমর পরিমাণ পানি জমে রয়েছে।
ㅤㅤ
ফেনী সদর উপজেলাতেও বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে, তবে শহরের কিছু সড়ক ও এলাকা এখনও পানিতে ডুবে আছে। জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার জানিয়েছেন, সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব এবং স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তবে, পরিস্থিতির উন্নতির জন্য আরও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
ㅤ
ㅤ
ㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤ