অন্যান্য

হামাস বলেছে গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রয়োজন নেই

হামাস বলেছে গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের প্রয়োজন নেই। তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইতোমধ্যে মেনে নিয়েছে, কিন্তু ইসরায়েলকে সেই প্রস্তাব মানতে চাপ দিতে হবে। হামাস আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়।

হামাস বলেছে গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রয়োজন নেই
হামাস বলেছে গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রয়োজন নেই

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধাগ্রস্ত করছে। বিশেষ করে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দক্ষিণ গাজার ফিলাডেলফি করিডর থেকে সেনা প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে যুদ্ধবিরতির আলোচনা জটিল করে তুলছেন। হামাসের দাবি, নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে কূটকৌশলের মাধ্যমে ব্যবহার করে ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে তারা নেতানিয়াহুর কৌশল সম্পর্কে সতর্ক করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই পরিস্থিতির দিকে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

আরও পড়ুন

হামাসের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, তারা ২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাব মেনে নেয়। এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য ছিল গাজায় সহিংসতা বন্ধ করা এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা। তবে, ইসরায়েল এখনও প্রস্তাবটি মেনে নেয়নি, যার ফলে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলের স্থিতিশীল নীতি এবং তাদের সেনা প্রত্যাহারে অনীহা এই প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলছে।

গাজায় ইসরায়েল-হামাস সংঘাত গত ৭ অক্টোবর থেকে তীব্র আকার ধারণ করে। হামাস ওই দিন ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় আড়াই শ জনকে জিম্মি করে এবং অন্তত ১,১৩৯ জন নিহত হন। এর পর থেকেই ইসরায়েল গাজার ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। হামলায় এখন পর্যন্ত ৪০,৬৯১ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। গাজার ওপর ইসরায়েলের আক্রমণ জল, স্থল ও আকাশপথে একযোগে চলছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।

এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে হামাসের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, ইসরায়েলের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না থাকলে এই প্রচেষ্টা সফল হবে না।

All News View    Facebook

ㅤㅤ

ㅤㅤ

ㅤㅤ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *