রংপুরে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে
রংপুরে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ, যিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
ㅤ
আবু সাঈদকে হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই রমজান আলী ১৯ আগস্ট রংপুরের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজু আহমেদের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৬ জুলাইয়ের আন্দোলনের সময় আবু সাঈদ নিরস্ত্র ছিলেন এবং কোনো ধরনের হুমকি তৈরি করেননি। তিনি ছাত্রলীগের নেতাদের ইটপাটকেলের মুখেও বুক পেতে এগিয়ে যান। এরপর পুলিশ শটগান দিয়ে তাকে নির্মমভাবে গুলি করে। আবু সাঈদ মাটিতে পড়ে গিয়ে বারবার দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও পুলিশ তাকে পরিকল্পিতভাবে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
ㅤ
আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিলেন এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ১৬ জুলাইয়ের ঘটনার পর তার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পর শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয় এবং কোটা সংস্কার আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। আন্দোলনের ফলে সরকার ব্যাপক চাপে পড়ে এবং অবশেষে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন, যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
ㅤ
এ ঘটনায় পুলিশ বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আবদুল বাতেন, এবং রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনারসহ আরও বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদেরও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ㅤ
ㅤㅤㅤ
ㅤ
ㅤㅤ
ㅤ
ㅤㅤ
ㅤ