ব্যালন ডি’অর এবং মেসি-রোনালদো অধ্যায়ের সমাপ্তি
ব্যালন ডি’অর এবং মেসি-রোনালদো অধ্যায়ের সমাপ্তি ফুটবল ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে ধরা হচ্ছে। ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা ১০ বছর এই দুই কিংবদন্তি ফুটবলারই আধিপত্য বিস্তার করে ব্যালন ডি’অর জিতে নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে লিওনেল মেসি ৮ বার এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ৫ বার এই পুরস্কার অর্জন করেছেন। এমনকি ২০১৮ সালে লুকা মদরিচ ব্যালন ডি’অর জেতার পরও মেসি ও রোনালদো মনোনীতদের তালিকায় নিয়মিত ছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালের প্রাথমিক তালিকায় তাদের নাম নেই, যা ফুটবল জগতে এক যুগের সমাপ্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ㅤ
এই পরিবর্তনের মূল কারণ হলো, মেসি ও রোনালদো দুজনই তাদের ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছেন। ইউরোপীয় ফুটবলের পাট চুকিয়ে মেসি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন এবং রোনালদো সৌদি প্রো লিগে আল নাসরের হয়ে খেলছেন। যদিও তারা এখনও বেশ ভালো পারফর্ম করছেন, তবে ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর তুলনায় এই দুই লিগের মান অনেকটাই নিচে। মেসি ২০২৩-২৪ মৌসুমে ৪১ ম্যাচে ৩১ গোল এবং ১৮টি অ্যাসিস্ট করেছেন। রোনালদো ৬৩ ম্যাচে ৫৭ গোল ও ১৬টি অ্যাসিস্ট করেছেন। তবে ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, এই পারফরম্যান্স ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর খেলোয়াড়দের তুলনায় সেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে না।
ㅤ
মেসি-রোনালদো যুগের শেষ হওয়ার অর্থ হলো, ফুটবলের নতুন প্রজন্মের তারকারা এখন জায়গা করে নিচ্ছেন। কিলিয়ান এমবাপ্পে, আর্লিং হালান্ড, ভিনিসিয়াস জুনিয়রের মতো তরুণ খেলোয়াড়রা নিজেদের অসাধারণ দক্ষতা দিয়ে এখন ফুটবলের নতুন নেতা হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন। বিশেষ করে হালান্ড এবং এমবাপ্পে গত দুই বছরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের অন্যতম দাবিদার হয়েছেন।
ㅤ
২০২৪ সালের ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দিয়ে ফুটবলে নতুন এক যুগের সূচনা হবে, যেখানে মেসি-রোনালদোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়তো আর দেখা যাবে না। ফুটবলের ইতিহাসে তারা সেরা দুই খেলোয়াড় হিসেবে থাকবেন, কিন্তু তাদের অধ্যায়ের সমাপ্তি ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে।
ㅤ
ㅤ
ㅤㅤ
ㅤ
ㅤㅤ
ㅤ
ㅤㅤㅤ