খুলনার কয়রা উপজেলায় অসময়ে তরমুজ চাষ করে সফলতা অর্জন
খুলনার কয়রা উপজেলায় অসময়ে তরমুজ চাষ কৃষকদের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করেছে। সাধারণত তরমুজ একটি গ্রীষ্মকালীন ফসল, তবে কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার করে এখন মাছের ঘেরের পাড়ে তরমুজ চাষ করছেন, যা থেকে তাঁরা ভালো লাভও করছেন। বিশেষ করে কয়রার উত্তর বেদকাশী ও বাগালী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে এভাবে তরমুজ চাষ করে চমৎকার ফলাফল পাওয়া গেছে।
ㅤ
কয়রার বড়বাড়ি গ্রামের কৃষক আবুল হাসান এ উদ্যোগের অন্যতম সফল উদ্যোক্তা। তাঁর সাড়ে ছয় বিঘা জমির ঘেরের পাড়ে বারি তরমুজ-২ জাতের ২০০টি বীজ রোপণ করেন তিনি। তরমুজগাছের তিন মাস বয়স পেরিয়ে ফলন শুরু হয়েছে, এবং এরই মধ্যে তিনি ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ৮০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। প্রতিটি তরমুজের ওজন প্রায় ৫ কেজি পর্যন্ত হয়েছে, যা তাঁর জন্য আর্থিকভাবে অত্যন্ত লাভজনক। এ সফলতা দেখে অন্যান্য কৃষকেরাও অসময়ে তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
ㅤ
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহায়তায় মোট ২০ জন কৃষক ১৩০ বিঘা জমিতে মাচান পদ্ধতিতে বারি তরমুজ-১, বারি তরমুজ-২ এবং হাইব্রিড তরমুজের চাষ শুরু করেছেন। কৃষি বিশেষজ্ঞ জাহিদ হাসানের মতে, হেক্টরপ্রতি প্রায় ৩৫ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদিত হয়েছে, যা প্রচলিত চাষাবাদের তুলনায় বেশ ভালো। কৃষকদের প্রয়োজনীয় বীজ, পরামর্শ এবং অন্যান্য সহায়তা দিয়ে এই প্রকল্পকে সফল করতে কাজ করছেন গবেষণা বিভাগের কর্মকর্তারা।
ㅤ
অসময়ের তরমুজ চাষ শুধু কৃষকদের জন্য নয়, আশপাশের মানুষের কাছেও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে এই চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানছেন এবং নিজেরাও চাষের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। কয়রার বাগা গ্রামের কৃষক ফেরদৌস হোসেন তাঁর তরমুজ চাষে এখন পর্যন্ত ৯০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন এবং আরও ৪০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রির আশা করছেন।
ㅤ
এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে কয়রা অঞ্চলে তরমুজ চাষে নতুন এক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করতে সহায়ক হবে।
ㅤ
ㅤ
ㅤㅤ
ㅤ
ㅤㅤ
ㅤ
ㅤㅤ
ㅤㅤ
ㅤ