ভারত থেকে বাংলাদেশে মোট ১০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের বিদ্যুৎ রপ্তানি
ㅤㅤㅤㅤ
ভারত থেকে বাংলাদেশে মোট ১০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের বিদ্যুৎ রপ্তানি করা হয়েছে, যার মধ্যে আদানি গোষ্ঠীর রপ্তানির অংশীদারিত্ব সবচেয়ে বেশি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত অর্থবছরে ভারত বাংলাদেশে ১ হাজার ১০০ কোটি ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করেছিল, যার মধ্যে বিদ্যুতের অংশ ছিল ৯ দশমিক ৩ শতাংশ। এই বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে, বিদ্যুৎ রপ্তানি বর্তমানে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ㅤㅤㅤㅤ
আদানির গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র, যা ঝাড়খন্ড রাজ্যে অবস্থিত, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করছে। ২০২৩-২৪ সালের এপ্রিল থেকে মার্চ সময়ের মধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশে ১ হাজার ১৯৩ কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ রপ্তানি করা হয়েছে, যার ৬৩ শতাংশ বা ৭৫০ কোটি ইউনিট সরবরাহ করেছে আদানির গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রধান উৎস হিসেবে উঠে এসেছে।
ㅤㅤ
সম্প্রতি ভারত তার বিদ্যুৎ রপ্তানি নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন এনেছে, বিশেষ করে শেখ হাসিনার ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার পর। ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ‘বিদ্যুৎ আমদানি/রপ্তানি’ নীতিমালা সংশোধন করে, যার ফলে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র এখন ভারতেও বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো ঝুঁকি কমানো।
এদিকে, আদানি পাওয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হলেও তাদের চলতি চুক্তিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। বর্তমানে চারটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে, যার মধ্যে আদানি পাওয়ারের রপ্তানি সবচেয়ে বেশি।
ㅤㅤ
বাংলাদেশের জন্য এই বিদ্যুৎ রপ্তানি গুরুত্বপূর্ণ হলেও এর কিছু নেতিবাচক প্রভাবও থাকতে পারে। আদানির গড্ডা কেন্দ্র সম্পূর্ণরূপে আমদানি করা কয়লার ওপর নির্ভরশীল, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়া, বাংলাদেশ বিদ্যুতের জন্য ভারতীয় কয়লার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে ।
ㅤ
ভারত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং আদানি গ্রুপের রপ্তানি এতে বড় ভূমিকা রাখছে। তবে, এই নির্ভরশীলতা দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের জন্য কিছু ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যা বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।
ㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤ