ত্রিপুরায় বন্যায় ১০ জনের মৃত্যু এবং প্রায় ৪০ হাজার মানুষ গৃহহীন
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤ
ত্রিপুরায় টানা চার দিনের ভারী বৃষ্টির ফলে ত্রিপুরা রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। প্রধান ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যার ফলে বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত বন্যায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ত্রিপুরায় রাজ্যের ১০টি নদী—হাওড়া, মনু, লঙ্গাই, জুরি, ধলাই, খোয়াই, দেও, গোমতী, মুহুরী ও ফেনী—বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। রাজধানী আগরতলার অনেক স্থানে পানি জমে গেছে, কোথাও হাঁটুসমান, কোথাও বুকসমান পানি। ইতিমধ্যে প্রায় ৭ হাজার পরিবারের ৪০ হাজার মানুষ ৩৫০টি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এনডিআরএফের ১১টি দল ত্রিপুরায় পাঠানো হচ্ছে, এবং হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করা হবে।
ㅤㅤㅤㅤㅤㅤ
বন্যার কারণে ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। সোনামুড়া থানার দুর্লভনারায়ণ গ্রামে মাছ ধরতে গিয়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ভূমিধসের কারণে আগরতলা-সাবরুমের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে, এবং আগরতলার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার কারণে বাংলাদেশে বন্যা হয়েছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অস্বীকার করেছে।
ㅤ
এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত উত্তরণে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার একযোগে কাজ করছে ।
ㅤ
ㅤ
ㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤ
ㅤㅤㅤㅤㅤ