ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত অনেক দ্বীপ ভালো অবস্থায় আছে
সংকুচিত হয়নি; বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বীপগুলো বড় হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠে পানি বেড়ে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিচু দ্বীপরাষ্ট্রগুলো ডুবে যাবে বলে আশঙ্কা জানানো হচ্ছেলো ।
তখন বিজ্ঞানীরা এর কারণ কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছেন। এমন অবস্থায় বিজ্ঞানীদের একটি দল সম্প্রতি মালদ্বীপে যায়।
সেখানে কয়েক সপ্তাহ কাজ করেছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণার জন্য সেখানে যন্ত্রপাতি, সেন্সর ও ক্যামেরা স্থাপন করেছিলেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীরা জানার চেষ্টা করেছেন, কীভাবে নীল ঢেউ ও সাদা বালু মিলেমিশে উপকূলরেখায় আশ্চর্যজনক সব জিনিস তৈরি করে
গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু দ্বীপে বাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে
আবার কিছু দ্বীপ বাসযোগ্য। প্রবাল দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর সরকারকে ঠিক করতে হবে কোন জায়গাগুলো সংরক্ষণ করবে আর কোনগুলো ছেড়ে দেবে।
সংরক্ষিত জায়গাগুলো নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে।
যেমন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, স্কুল, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অবকাঠামো নির্মাণ নিশ্চিত করতে হবে।
সীমিত সম্পদ দিয়ে উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে হবে।
প্রবালদ্বীপের আকার নিয়ে গবেষণায় জানা গেছে, টেকটোনিক প্লেটের অবস্থান পরিবর্তনের ফলে দ্বীপ অঞ্চলের উত্তপ্ত আগ্নেয়গিরিগুলো একসময় ঠান্ডা হয়ে পানির নিচে ডুবে যায়।
সেখানে প্রবাল বাসা বাঁধতে থাকে এবং উঁচু হতে থাকে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগ্নেয়গিরিগুলো মৃত আগ্নেয়গিরিতে পরিণত হয় এবং সেখানে আংটি আকৃতির প্রবালপ্রাচীর গড়ে ওঠে।
১৮৩৬ সালে ভারত মহাসাগরের প্রবালপ্রাচীর পরিবেষ্টিত একটি দ্বীপ পরিদর্শনের পর চার্লস ডারউইন লিখেছিলেন, এগুলো বিশ্বের চমকপ্রদ নিদর্শনের প্রথম সারিতে থাকবে।
চার্লস ডারউইন তত্ত্ব দিয়েছিলেন, প্রবালপ্রাচীরের ঘেরগুলো আসলে মৃত আগ্নেয়গিরির সমাধিস্থল।
পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞানীরা বলতে থাকেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের ওঠানামার কারণে প্রবালপ্রাচীরঘেরা দ্বীপগুলো যুগে যুগে কয়েকবার ডুবেছে আর জেগে উঠেছে
বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে উড়োজাহাজ থেকে ধারণ করা প্রশান্ত মহাসাগরীয় ২৭টি দ্বীপের ছবি সংগ্রহ করে সম্প্রতি কৃত্রিম উপগ্রহে ধারণ করা ছবির সঙ্গে তুলনা করেন।
গবেষকেরা বলছেন, প্রতি দশকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক ইঞ্চির মতো করে বেড়েছে।
তবে ঢেউয়ের সঙ্গে পলি জমা হতে থাকায় বেশিরভাগ দ্বীপের আকার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।