গাজার ১৫ বছর বয়সী কিশোর ইউসেফ সাদ যুদ্ধের ভয়াবহতার
গাজার ১৫ বছর বয়সী কিশোর ইউসেফ সাদ যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রতিদিন ইসরায়েলের বিমান হামলা এবং বোমা বিস্ফোরণের ঝুঁকি সত্ত্বেও সে সাহসিকতার সাথে তার সাইকেল নিয়ে উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরের ধ্বংসস্তূপে ঘুরে বেড়ায়। পিঠে ঝোলানো থাকে তার প্রিয় বাদ্যযন্ত্র “ওদ”। যুদ্ধবিধ্বস্ত শিশুদের মধ্যে আশার আলো জ্বালানোর জন্য গান গেয়ে এবং ওদ বাজিয়ে সাদ তাদের মানসিকভাবে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেয়।
ㅤ
গাজার বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিদিনই শিশুদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের ফলে গাজার প্রত্যেক ঘরেই এক একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা রয়েছে। কেউ মা, কেউ বাবা, কেউ বন্ধু হারিয়েছে। এমন অবস্থায় ইউসেফ সাদ তার গান দিয়ে শিশুদের মনোবল ধরে রাখার চেষ্টা করে। সাদের নিজের বাড়িও ধ্বংস হয়ে গেছে, এবং সে এখন স্বজনদের সাথে আশ্রয় নিয়েছে। তবুও, নিজের দুঃখ ভুলে গিয়ে সে অন্য শিশুদের মনোবল বাড়াতে ব্যস্ত।
ㅤ
ইসরায়েলি হামলায় ইউসেফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান “এডওয়ার্ড সাইদ ন্যাশনাল কনজারভেটরি অব মিউজিক” ধ্বংস হয়ে গেছে। তবু সে তার কাজ থেকে পিছপা হয়নি। সে মনে করে, শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি তার কর্তব্য, এমনকি এর জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করতে হলেও। গাজার জাবালিয়া দিবাকেন্দ্রে সে নিয়মিত শিশুদের গান শোনায় এবং যুদ্ধের বিভীষিকা কিছুটা ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
ㅤ
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মধ্যেও সাদের মতো কিশোররা তাদের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। সাদ বলে, “আমরা ফিলিস্তিনি শিশুরা গণহত্যার মুখে দাঁড়িয়েও শক্ত ও প্রাণবন্ত থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”
ㅤ
ㅤ
ㅤㅤ
ㅤ
ㅤㅤ
ㅤ
ㅤ
ㅤㅤ